ভালবাসার গল্পে আপনাকে স্বাগতম,ভালবাসার গল্পে আপনাকে স্বাগতম,ভালবাসার গল্পে আপনাকে স্বাগতম,ভালবাসার গল্পে আপনাকে স্বাগতম,ভালবাসার গল্পে আপনাকে স্বাগতম

2016-11-20 ~ ভালবাসার গল্প

Friday, November 25, 2016

কলেজের প্রথম বছর ছিল… পরিচয় হল… বন্ধুত্ব হলো… ভাল লাগলো… তারপর প্রেম নিবেদন…
তারপর শুধুই ভালবাসা| নাহ্! এত নিরামিষ ছিল না আমাদের গল্প| এত নিরামিষ হলে
হয়তো এভাবে সাতটা বছর পার করে দিতে পারতাম না দুজনে|

সেই সাত বছর আগের কথা… কিছুদিন হলো কলেজে ভর্তি হয়েছি| হঠাৎ অপরিচিত কারো একটা
ই-মেইল নজরে পরলো| খুব সহজ একটা ধাঁধা লেখা ছিল ই-মেইলে| সাথে একটা মোবাইল
নাম্বারো ছিল, আর লেখা ছিল যদি ধাঁধার উত্তর জানা থাকে তাহলে যেন সেই নাম্বারে
পাঠিয়ে দিই| ধাঁধার উত্তর লিখে পাঠিয়ে দিলাম আর জানতে চাইলাম তার পরিচয়, তবে ই-
মেইলের উত্তর ই-মেইলেই… মোবাইলে দিয়ে নিজের মোবাইল নাম্বারটা একটা অপরিচিত
মানুষকে দিয়ে বিপদে পরবো নাকি!!?? কিছুদিন পর আবিষ্কার করলাম ছেলেটা আমার
সেকশনেরই! কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না কে সেই শাখামৃগ যে আমাকে এত
দুশ্চিন্তায় ফেলে দূরে বসে মজা নিচ্ছে!!?? পরে জানতে পারলাম যার দিকে কখোনো
চোখই পরেনি, যার নামটাও কখোনো জানা হয়ে ওঠেনি ছেলেটা সেই… সানিয়াত… সানিয়াত
মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন|
বন্ধুত্ব হলো… খুব ভাল বন্ধুত্ব হলো… রাতে মোবাইলে কথা না বললে চলতোই না… ধীরে
ধীরে কখোন যে বন্ধুত্বটা দুর্বলতা হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না! হয়তো নিজেকে বা
ওকে বুঝতে দিতে চাইতাম না অনুভূতিটা| ভয় হতো… যদি বন্ধুত্বটাই হারিয়ে ফেলি!?
তবু মনের মাঝে কোন এক কোণায় হালকা ব্যথা অনুভূত হতো, যখোন ও ঐ সেকশনেরই সবচেয়ে
সুন্দর মেয়েটার কথা বলতো| হালকা ব্যথা বললে বোধহয় ভুল হবে… আগুনের একটু আঁচ
লাগলেই যেমন জ্বলা শুরু করে… আমারো তখোন ভেতরটা জ্বলতো! একটা কথা আছে না… “বুক
ফাটে তাও মুখ ফোটেনা”… ঠিক ঐ রকম!
জানুয়ারী ২০০৫ থেকে ডিসেম্বর ২০০৫… আমাদের বন্ধুত্ব আরো গাড়ো হলো… আমাদের ছোট
খাট পছন্দ অপছন্দ শেয়ার করা হলো| যদিও আমাদের ক্লাসমেটদের ধারণা আমরা তখোন
থেকেই প্রেম করি| ধারণাটা আরো গাড়ো হয়েছিল যখন ও ক্লাসের একটা ছেলেকে আমাকে
উত্তক্ত করার জন্য ঝাড়ি দিয়েছিল| ধারণাটা নি্শ্চিত সন্দেহের রূপ নেয় যখন আমি ওর
হাতে কলেজের বেলকনিতে দাঁড়িয়ে একটা চিঠি ধরিয়ে দিই| চিঠিতে কি লিখেছিলাম মনে
নেই, তবে সেটা কোনো প্রেমপত্র ছিল না এটা নিশ্চিত… সেটা ছিল ওর ওপর আমার
অভিমানের বহিঃপ্র্রকাশ মাত্র| ও আমাকে এখন প্রায়ই বলে চিঠিতে নাকি অসংখ্য বার
আমি লিখছলাম “আমি তোমার খুব ভাল Friend হিসেবে বলছি…”| সেদিন বৃষ্টি হচ্ছিলো...
চিঠিটা ওর পকেটে ছিল... বৃষ্টিতে আমার চিঠিটা নাকি ভিজে একাকার|তার কিছুদিন পর
আমি আমার ২য় বর্ষে কলেজ বদলিয়ে ফেললাম| ফিরে গেলাম আমার স্কুলেরই কলেজ শাখায়|
তারপর আমার মোবাইল হারিয়ে গেল… সাথে ওর নাম্বারটাও| সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ|
মাঝেমাঝে ই-মেইল Check করতাম… যদি ও কিছু পাঠায়… কিন্তু দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কিছুই
পেতাম না| নিজেকে সান্তনা দিতাম… এই বুঝি ভাল হলো… Out of sight, out of mind!
পর্ব : ২
জানুয়ারী ২০০৬ থেকে ২০০৬ ডিসেম্বর… এর মাঝে অনেক উত্থান পতন হয়েছে দুজনেরই…
এসেছে কিছু পরিবর্তন… ৪ বছর বয়স বেড়েছে… কলেজ শেষ হয়েছে… ২০০৭ এর জানুয়ারী থেকে
আমি মেডিকেল ছাত্রী হয়েছি আর ও হয়েছে ইঞ্জিনীয়ার ছাত্র| তখনো মাঝেমাঝে ই-মেইলCheck
করতাম… হঠাৎ ২৯ জানুয়ারী ২০০৭ একটা ই-মেইল নজরে পরলো… from Md. Sarwer
Hossain| আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না| ই-মেইলটা ওর নতুন Address থেকে
পাঠিয়েছিল ওর Contact list এর সবাইকে| আমি আর সবাই এক হলাম!? এই ভেবে আর Reply
করা হলোনা| তারপর ২১ ফেব্রুয়ারী ২০০৭ আরেকটা ই-মেইল এলো| ই-মেইল পড়ে প্রথমে খুব
রাগ হলো… কারণ as usual সেখানে আমাকে Jealous করানোর মত কথা লেখা ছিল| ই-মেইলের
শেষ লাইন গুলো ছিল এরকম “SunSi dr ri porteSo khubi valo. amr amma Sune khub
khuSi hoiSe. kau dr hoiSe Sunle amma khuSi hoya jay, amder aaSe paSe Sob to
enginr tai. ajk to monehoy tmr bondo. ok valo thako.... bye… connection
raikho amak vuila gaSo ? ? ! ? ! ! ! ?” তখন কেন জানি আর রাগ করে থাকতে পারলাম
না… reply একটা করেই দিলাম| তারপর আবার শুরু হলো যোগাযোগ| ও যেমন আমাকে প্রায়ইJealous
করানোর মত কথা বলতো আমিও ওকে সব সময় Jealous করার চেষ্টা করতাম… কিন্তু ওর কোনো
প্রতিক্রীয়াই ছিলনা! খুব রাগ হতো আমার!
২০০৮ এর ১৩ ফেব্রুয়ারী… আমি ওকে “Yahoo!” তে Chat-এ বেশ ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
“আচ্ছা, তোমার কাল কি কোনো Programme আছে?” ও বললো, “নাহ্, কাল কি Programme
থাকবে? কেন থাকবে?” আমি বললাম, “তাহলে আমরা কি কাল TSC-তে দেখা করতে পারি?” আমি
ভেবেছিলাম ও “না” বলবে| কিন্তু ও বললো “হ্যাঁ”!! বলে আমার বিপদ বাড়িয়ে দিল|
প্রচন্ড রকমের ভয় ভর করলো মাথায়| এতই ভয় আর উত্তেজনা পেয়ে বসলো আমায় যে আমার
হারিয়ে যাওয়া মোবাইলের সাথে যে ওর মোবাইল নাম্বারটাও যে হারিয়ে গিয়েছে সেটাও
ভুলে গিয়েছিলাম| আর হঠাৎ করে ওর নাম্বারটাও কিছুতেই মনে পড়ছিল না| কিন্তু
ততক্ষনে আমরা Sign out করে ফেলেছি| হঠাৎ মনে পরলো একটা ডায়রীতে ওর নাম্বার লিখে
রেখেছিলাম, কিন্তু কোনো লাভ হলোনা… ডায়রীটা খুঁজে পেলাম না| তাই ১৪ ফেব্রুয়ারী
২০০৮ TSC যাওয়া হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু বইমেলার মানুষের ভীরে আমরা দুজন দুজনকে
খুঁজে পেলাম না| পরদিন “Yahoo!” তে ও আমাকে নাম্বার দিল… ঠিক হল ১৭ ফেব্রুয়ারী
দেখা করবো| আবারো সেই ভয় আর উত্তেজনা পেয়ে বসলো আমায়|
১৭ ফেব্রুয়ারী ২০০৮… তখন আমি হোস্টেলে থাকতাম| TSC গেলাম… একমাস ব্যাপি বইমেলা…
প্রচন্ড মানুষের ভীর| আমি পৌঁছেই ওকে ফোন দিলাম… ও কাছেই কোথাও ছিল… ৫ মিনিট
অপেক্ষা করতে বললো| এই ৫ মিনিটে আমার ভয় ক্রমোশ বেরেই চললো| মাথায় কত চিন্তা ভর
করলো! এই প্রথম আমি আর ও কোথাও এভাবে দেখা করতে যাচ্ছি… কতদিন পর দেখবো ওকে… ২
বছরের বেশি… ও কি পাল্টে গেছে… নাকি সেই আগের মতই আছে… ওকে চিনতে পারবো তো বা ও
আমাকে চিনতে পারবে তো!? এরকম কত ভয়…! তারপর অতি প্রতিক্ষীত ৫ মিনিট শেষ হলো…
দূর থেকে দেখেই চিনতে পারলাম ওকে| নাহ্! খুব বেশি পাল্টায়নি ও… তবে একটু মোটা
হয়েছে… মোটা বললেও ভুল হবে… স্বাস্থ্যটা একটু ভাল হয়েছে| ও কাছে এলো… আসার পর
আমি কিছুতেই ওর দিকে তাকাতে পারছিলাম না| ভয় অথবা লজ্জা… কিছু একটা কাজ করছিল|
লজ্জা পাচ্ছিলাম হয়তো লজ্জা নারীর ভূষণ বলে, আর ভয়… কারণ… ও যদি বুঝে ফেলে আমার
দুর্বলতা! সন্ধ্যা ৭.৩০ টা পর্যন্ত ছিলাম ওর সাথে| ও ওর স্বভাব সুলভ খুব নরমাল
আচরণ করছিল, আর আমি খুব চেষ্টা করছিলাম নরমাল হওয়ার… কিন্তু ব্যর্থ চেষ্টা! ও
আমাকে রিকশায় করে হোস্টেলে পৌঁছে দিয়ে গেল| হোস্টেলে ফেরার পর থেকে শুধু মনে
হচ্ছিল ও কিছু বুঝলো না তো!!?? সত্যিই তাই… ও সেদিন বুঝে গিয়েছিল… কিন্তু ও
আমাকে বুঝতেই দেয়নি যে ও বুঝতে পেরেছে|
একদিন কথায় কথায় মনে পড়লো আমি ওকে কলেজে থাকতে জোড়া ডলফিনের একটা শো-পিস Gift
করেছিলাম| লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম… কি নির্লজ্জ মেয়েরে বাবা আমি! ও বললো ওটা নাকি
তখনি ওর Friend দের বিশেষ কৌতুহলের কারণে দুই টুকরা হয়ে গিয়েছিল| সাথে সাথে
আমার মনটাও দুই টুকরা হয়ে গেল| তারপর ও বললো সেটা নাকি ও আঠা দিয়ে জোড়া
লাগিয়েছে… তখন থেকে সেটা ওর Aquarium এ শোভা পাচ্ছে| এই কথা শোনার পর আমার মন
তো জোড়া লাগলোই… মনে হলো কোথা থেকে যেন হালকা একটা হাওয়া স্বজোরে একটা দোলা
দিয়ে গেল| মনে হলো… তাহলে কি ওর ও মাঝে দুর্বলতাটা কাজ করে!!?? তারপর থেকে আবার
শুরু হলো আমার “Mission : Making Him Jealous”| এবার বোধহয় কাজ হলো…
৩০ জুন ২০০৮… নাহ্! ১ জুলাই ২০০৮… ৩০ জুন ২০০৮ রাত ১২টার পর… সকালেই আমারAnatomy Prof Written exam|
ও আমাকে চমকে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “অনু, তুমি কি কোনো কারণে আমার প্রতি Weak?”
যার সত্যিকার অর্থে মানে ছিল, “অনু, তুমি কি আমাকে ভালবাসো?” আমি কি উত্তর দিবো
ভেবে পাচ্ছিলাম… আমার কি বলা উচিত যে আমি শুরু থেকেই Weak!!?? আমি বললাম… “কি
হবে জেনে? তোমার কাছে আমার সব Problem এর Solution  আছে, কিন্তু এই উত্তরের
কোনো Solution নেই”| ও বললো… “বলেই দেখো… থাকতেও তো পারে”| আমি বললাম… “হ্যাঁ,
আছে তোমার কাছে কোনো Solution?” ও বললো… “এভাবেই চলতে থাকি… কপালে থাকলে হবে”|
নিজেকে খুব ছোট মনে হলো… মনে হলো “হে ধরণী! তুমি দ্বিধা হও, আমি তোমার ভেতর
প্রবেশ করি”!
পর্ব : ৩
ভাবলাম এবার বুঝি বন্ধুত্বটাও হারালাম! ভাবলাম আমার ধারণা বোধহয় ভুল ছিল|
কিন্তু না কিছুই শেষ হয়নি| ও খুব সহজেই যেকোনো ব্যপার সহজ করে ফেলতে পারে| আমরা
আবার আমাদের চিরাচরিত Friendship-টাকেই ধরে রাখলাম|
২০ অগাস্ট ২০০৮… পরীক্ষা শেষে বাসায় আসলাম| ঐদিন রাতেও ১২টার পর ফোনে কথা হলো|
হঠাৎ ও আমাকে বললো, “আচ্ছা অনু, ঐ যে ঐ টা একটু বলোতো”| আমি বললাম, “কি বলবো?”
ও বললো, “ঐ যে তুমি যেটা Feel করো… ঐ যে কি যেন বলে না একজন আরেকজন কে”| আমার
বুঝতে বাকি রইলো না যে ও আমাকে দিয়ে কি বলাতে চায়! ওর মুখে আমার নামের উচ্চারণ
শুনলেই তো আমার কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে যায়… আমি  সেখানে একটা মেয়ে হয়ে কিভাবে ওকে
এই কথাটা বলি!? আমি অনেক “না না” করলাম পর… অনেক ঢং করলাম …ও আমাকে বললো, “বলো
না একটু শুনি, দেখি কেমন লাগে!?” সব লজ্জার ডোর ছিড়ে বলেই ফেললাম… “I love
you”… এত speed এ বলেছিলাম যে নিজেই বুঝতে পারিনি যে ও বুঝলো কিনা! বলেই ওকে
কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন রেখে দিলাম| সেই রাত অনেক লম্বা ছিল… ঘুম-ই আসলোনা
!
২৩ অগাস্ট ২০০৮… রাত ১২টার বেশি বাজে… অর্থাৎ ২৪ অগাস্ট ২০০৮… খুব ভয়ে ভয়ে
লজ্জায় লজ্জায় ওর ফোন ধরলাম| আবারো ও শুনতে চাইলো… এবারো অনেক ঢং করার পর বললাম…
এবার ও শুনতে চাইলো পর পর তিনবার… আমিও লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে বলে দিলাম| মনের
ভেতরটায় অদ্ভূত একটা ব্যথা অনুভব করলাম এই মনে করে যে “তুমি কি একবারও বলবা না?”
আমি যখন এই চিন্তায় মগ্ন তখন আচমকা কানে বেজে উঠলো ওর কণ্ঠস্বর… “অনু, তুমি
আমাকে মারবা!” জানিনা কোথ্থেকে এক ফোঁটা অশ্রু চোখের কোণে আশ্রয় নিল| ভাবলাম…
তাহলে কি ফুরালো আমার তিন বছর ছয় মাসের অপেক্ষার প্রহর? আমি যখন আবারো ভাবনায়
মগ্ন তখন আবার আচমকা কানে বেজে উঠলো ওর কণ্ঠস্বর… “ANU, I LOVE
YOU”…………………………………… মনে হলো আমার কর্ণ কপাট ভেদ করে সুমধুর সুর প্রবেশ করলো|
মনে হলো কেউ আমায় প্রেমের অমৃত সুধা গলধিকরণ করালো| আর সেই কেউ… আমার সানিয়াত
মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন|
এখন ও আমাকে মাঝে মাঝে বলে, “তখনই (কলেজে পড়ার সময়) তোমার weakness টা সামনে
আনতা, তাহলে আর এতদিন একা থাকতে হতো না… অবশ্য আমারই দোষ… আমি তখনই লাই দিলে
তখনই এটা সামনে আসতো|” ওকে jealous feel করানোর কথা উঠলে বলে, “আমি তো জানতাম
তুমি কি চাইতা... আর জানতাম বলেই jealous হতাম না আর তুমি আরো বেশি জ্বলতা… খুব
মজা লাগতো!” ফাজিল কোথাকার!
তারপর কত ঝড় ঝাপটা গেল… দুজনের পরিবারে জানাজানি হলো| ওর মা-বাবা খুব সহজেই
মেনে নিলেন| আর আমার মা-বাবা ছিলেন প্রচন্ড প্রেম বিরোধী ছিলেন| কিন্তু আমরা
কোনোভাবেই হাল ছাড়িনি| আমরা জানতাম, আমার বাবা আমাকে প্রচন্ড ভালবাসেন… তাই
তিনি অপরিচিত একজনের হাতে মেয়েকে তুলে দিতে ভয় পাচ্ছিলেন| মা-বাবা ওর সাথে দেখা
করলেন… কথা বললেন… Impressed হলেন|
তারপর আর কি! তারপর…. এক সাথে পথ চলা… মাঝে মাঝে একটু একটু ভালবাসার ঝগড়া…
তারচেয়েও অনেক অনেক বেশি… সবকিছুর ঊর্ধে শুধুই আমাদের ভালবাসা|

Thursday, November 24, 2016

সব লেখা তো আর সবার ভালো লাগেনা।
এটা আপনার কাছে খারাপ লাগলো বাট অন্য কারোর কাছে ভালোও লাগতে পারে,
তাই খারাপ ভালো সবই পোস্ট করতে হয়, আজকের টা শুরু করি।

Sad Girl Tears - Valobasa
- হ্যালো! ভালো আছো?
- তোমাকে না বলেছি আমাকে আর ফোন করবেনা।
- কেন এমন করছ আমার সাথে? ফোনের অপর প্রান্তে কাঁদো কাঁদো স্বর দিপ্তীর। আমি কি করেছি?
- আমি তো তোমাকে বলেছি, আমি অন্য একটা মেয়ের সাথে রিলেশনে আছি, কথা কি মাথায় ঢোকেনা তোমার?
- তাহলে আমার কি হবে? আমার সাথে কেন ব্রেক-আপ করলে?
- তোমাকে এখন আর আমার ভালো লাগেনা।
-আমি বিশ্বাস করিনা।
এমন সময় হঠাৎ তীব্র মাথা ব্যাথায় চোখে অন্ধকার দেখতে থাকে সাগর, ফোন কেটে দিয়ে পেটে হাত দিয়ে চেপে ধরে ছটফট করতে থাকে।
সময় জ্ঞান হারিয়ে যায় মনে হতে থাকে যেন অনন্ত কাল ধরে এই মাথা ব্যাথা হয়েই যাচ্ছে।
যেভাবে আচমকা ব্যাথা টা এসেছিলো ঠিক সেভাবেই চলে যায় হঠাৎ করে।
সাগর ঘড়ির দিকে তাকায় প্রায় টানা তিন ঘণ্টা ধরে ছটফট করেছে সে।
ওষুধ খাবার সময় হয়ে এলো, এখনি আবার ডাক্তার আঙ্কেল আসবেন দেখে যাওয়ার জন্য।
সাগর জানে তার হাতে আর বেশীদিন সময় নেই, কিডনিটা দিন দিন খুব খারাপ হচ্ছে ধীরে ধীরে।
- দাদা ওষুধ খেয়েছিস?
- ওষুধ খেয়ে কি হবে বোন? সাগর মলিন স্বরে হেসে ওঠে।
- ছোট বোনটা থমকে দাঁড়ায়, কান্না আটকে রাখার আপ্রান চেষ্টা করেও আর না পেরে বের হয়ে যায় রুম থেকে।
সাগর বুঝতে পারে কাজটা ভালো হয়নি।
সে ওষুধ খেয়ে, বোনের কাছে গিয়ে বোনকে জড়িয়ে ধরে, বোন তার মাথায় হাত বুলাতে থাকে আর সাগর চুপ করে বোনের  কোলে মাথা দিয়ে বসে থাকে।
এমন সময় সাগরের ফোনে মেসেজ আসে একটা, স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে দিপ্তীর মেসেজ।
“আই হেট ইউ” - তোমার সাথে আর কখনো যোগাযোগ করবোনা আমি। আমার ভাবতেই ঘৃণা হচ্ছে যে আমি তোমার মত ছেলে কে ভালোবেসে ছিলাম।

সাগরের চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে থাকে,
সে ফিস ফিস করে বলে, “আমাকে ঘৃণা করে তুমি সুখে থাকো দিপ্তী।
অন্য কাউকে ভালবেসো তুমি।
তুমি তো জাননা ভালোবাসা আমাকে আর মানায় না।”
Lal dairyr shesh pata
লিখেছেন - শুকনোপাতা
অনেক ভেবে চিন্তে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিল নুমা।এলোমেলো সব কিছু কে আবার গুছাবে,আর তার শুরুটা এভাবেই হবে।আজকে কেন জানি খুব অভিযোগ করতে ইচ্ছে করছে ওর,খুব ইচ্ছে করছে কিন্তু কার কাছে করবে?...নিজের কাছে?হ্যা,এত গুলো দিন ধরে তো এটাই করে আসছে।সব রাগ,সব ক্ষোভ,সব অভিযোগ নিজের কাছেই জমা রাখছে।সামনে থাকা ছাইয়ের স্তুপের দিকে আবারো তাকালো,অনেকক্ষন ধরে তাকিয়ে থাকল সেদিকে...এই তো সেদিনের কথা,নিশাত এসে বলল,
''দোস্ত,তুই কি জানিস কেউ তোর জন্য দুনিয়া এক করে ফেলতে পারে?''!
আরেকদিন এসে নিশাত  বলল,
'তুই তো সব সময় বলিস এমন কাউকেই সঙ্গী করবি যার কাছে তুই একদিকে আর সারা দুনিয়া এক দিকে তোর কি মনে হয় না এমন কেউ ই সে...''

তারপর...তারপরের দিন  গুলো যেন ছিল স্বপ্নের মতো,আর এখন মনে হয়,তখন বুঝি আবেগ অনুভুতি সব ভোঁতা হয়ে গিয়েছিল।কিন্তু যাই হোক,সেই সময় গুলো,অনুভুতি গুলো আজ ও সুখ স্মৃতি হয়ে আছে...অনেক অনেক গল্প,ছোট ছোট অভিমান,রাগ ভাঙ্গানোর চেষ্টা আর স্বপ্ন দেখা...যেন অচিন দেশের রাজকুমারের প্রতিক্ষায় স্বপ্নের জাল বুনে যাচ্ছে রাজকুমারী,ময়ূরপঙ্খী ঘোড়ায় চরে আসবে কবে সেই রাজপুত্র...সোনার কাঠি আর রুপোর কাঠির ছোঁয়ায় স্বপ্ন ঘুমের অবসান করবে...কতশত ছেলে মানুষি চিন্তাই না করতো নুমা...



অনেক রাত হয়ে এলো,নুমা জানালা দিয়ে বাহিরে তাকালো,নিকষ কালো আঁধার চারপাশে,যদিও শহুরে বাড়ির আলোয় অন্ধকারের গভীরতা খুব একটা বোঝা যায় না তবু সময় বলে দিচ্ছে রাতের গভীরতা কতখানি।নুমার মনে হয় আজকের রাতের মতোই ছিল সে রাতটা...সব কাজ শেষ করে নুমা অপেক্ষায় ছিল রাফির ফোনের।ঘড়ির কাঁটা ১২টা পেড়িয়ে যায় কিন্তু রাফির ফোন আসেনা।অস্থির হয়ে উঠে নুমা...এমনতো হবার কথা না!সময় পেড়িয়ে ঘড়িতে যখন ১.৩০টা বাজে তখন সাইলেন্ট করা মোবাইলের স্ক্রিনে রাফির নাম্বারটা ভেসে উঠল।নুমার মনে হল এতক্ষনে ও নিঃশ্বাস নিতে পারছে...দ্রুত ফোন রিসিভ করল।কেন রিসিভ করেছিল ফোনটা...?না করলেই তো মনে হয় ভালো হতো...!



নুমার চোখটা আবারো  ভিজে উঠে।চোখের জল যেনো বাঁধ মানেনা...নুমা আসলে অনেক চেষ্টা করেও নিজের কান্না আটকে রাখতে  পারে না।মাঝে মাঝে মনে  হয় কান্না চেপে রাখতে রাখতে  ওর বুকটা ভীষন ভারী হয়ে  আছে...!

কেমন করে সেদিন  পেরেছিল রাফি?ওদের তিন বছরের সম্পর্কটাকে গলা টিপে মেরে ফেলতে...!!কেমন করে পেরেছিল?...আবারো ডুকরে কেঁদে উঠে নুমা।



ভার্সিটি এডমিশন টেস্টের  কোচিং এ নুমার পরিচয় হয়েছিল বান্ধবি নিশাতের  মামাতো ভাই রাফির সাথে।ওর  দু'বছরের সিনিয়র ছিল,ওদের কোচিং এর পাশেই একটা স্কুল কোচিং সেন্টারে ক্লাস নিতেন,সে জন্যই ওদের সাথে দেখাটা বেশি হতো।নুমা এমনিতে বান্ধবিদের সাথে অনেক কথা বললেও সহজে সবার সাথে কথা বলতো না খুব,কিন্তু মেধাবি আর অমায়িক ব্যাবহারের কারনে সবার চোখেই ও ভালো মেয়ে ছিল।নিশাতের মা ও নুমাকে খুব আদর করতেন।আস্তে আস্তে নিশাতের পরিবারের সাথে ভালো সম্পর্ক হয়ে যায় নুমার এবং নুমার পরিবারের।নিশাতের যেহেতু কোন বড় ভাই ছিল না সে জন্য নুমা খুব একটা সংকোচ বোধ করতো না।এডমিশন টেস্ট শেষে দু'জন দু'দিকে চলে যায়,নিশাত সিলেটে আর নুমা জগন্নাথে।ফোনের আর ইন্টারনেটে যোগাযোগ ছিল দু'জনেরই।

ভার্সিটিতে ক্লাস  শুরুর কয়েকদিন পরেই  নীলখেতে দেখা হয় রাফির সাথে নুমার।রাফির একের পর এক প্রশ্ন করে যাওয়া দেখে খুব অবাক হয়েছিল নুমা,যেন অনেকদিন পর পাগলের মতো খুঁজতে থাকা কোন আপনজনকে খুজে পেয়েছে সে!এরপর থেকে প্রায়ই রাফি আসতো নুমার ভার্সিটিতে। ধীরে ধীরে বেশ ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে দু'জনের।নুমার প্রায়ই মনে হতো রাফির চোখের ভাষা ওকে অন্য কিছু বলে,রাফির বলতে বলতে থেমে যাওয়া কথা গুলোর মানে নুমা মনে হয় বুঝতে পারে...কিন্তু কিছুই প্রকাশ করে না নুমা।আসলে নুমা নিজেও মনে মনে রাফিকে পছন্দ করতে শুরু করেছে,রাফির ব্যাক্তিত্ব,চিন্তা,আগ্রহ সব কিছুই অন্যরকম ভালো লাগার অনুভূতি দেয় নুমাকে...মনের অজান্তেই স্বপ্ন দেখে নুমা...

কিন্তু নিজেকে সামলে  রাখে নুমা।বান্ধবিদের অনেক গল্পই তো দেখেছে সে,নাহ,কোন বিশ্বাস নেই।তাই নিজের অনুভূতি গুলোর সাথে সাথে রাফির অনুভূতি গুলোকেও এভোয়েড করতে লাগল।কিন্তু রাফি শেষ পর্যন্ত নিশাতকে দিয়ে রিকোয়েষ্ট করলো।কেন জানি নিজেকে আর আটকে রাখতে পারেনি নুমা।ভালোবাসা তো মনের ভেতর আটকে রাখার কিছু না...নুমাই বা কেমন করে তা করবে...!



লাল রঙের ডায়েরিটা  আবারো হাতে নিল নুমা।এই  ডায়েরিটার প্রায় সব গুলো পাতা জুড়ে ওর আর রাফির  কথা লেখা...দিন শেষে অনেক আবেগ আর আগ্রহ নিয়ে লিখতো  নুমা।আস্তে আস্তে পাতা উল্টাতে  থাকে...

   '' আজ রাফির সাথে বই মেলায় গিয়েছিলাম।অদ্ভুত একটা মানুষ!পাঠ্যপুস্তক ছাড়া আর কোন বইয়ের দিকে তার কোন আগ্রহই তেমন নাই!আর আমি যাও কিনতে যাই খালি বাঁধা দেয়!বলে,এই বই কি পড়বা,ফালতু বই ইত্যাদি ইত্যাদি!উফফ...!নিজেতো পড়ে না আরেকজনকেও পড়তে দেয় না!তবে হ্যাঁ সে থাকাতে অনেক উপকার হয়েছে আজ,অন্যপ্রকাশে এত ভীড় ঠেলা আমাকে ঢুকতে হয়নি,ও নিজে ঢুকে ক্যাটালগ এনে দিয়েছে,বই কিনেছে...পাগল একটা!হিহিহি।''

    ''আজ প্রথম শাড়ি পড়ে রাফির সাথে ঘুরতে বের হয়েছিলাম।অনেক নার্ভাস লাগছিল!একে তো এই প্রথম শাড়ি পড়ে একা বের হয়েছি তার উপর সাথে রাফি!বাট রাফির মুগ্ধ দৃষ্টি দেখে সব ভয় কেটে গেছে...যাক,মানুষটার দেখার চোখ আছে তাহলে!''    

  ''আজ অনেক অসাধারন একটা দিন...!রাফি,আজ আমার জন্য আমার পছন্দের লাল চুড়ি নিয়ে এসেছিল,সেই সাথে একটা পায়েল।জিনিস গুলো দেখে মনে হচ্ছিল চিৎকার করে রাফিকে বলি,ভালবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি...''    

''কাল রাফি অষ্ট্রেলিয়া চলে যাবে,গত একমাস ধরে মানুষটার সেকি ব্যাস্ততা!তার সারা জীবনের স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে,কিন্তু একটা বারও আমার চোখের দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখেনি।তাকালে দেখতে পেতো তাকে ছাড়া থাকার কষ্ট কতোটা কাঁদাচ্ছে আমাকে...কেমন যেনো স্বার্থপর মনে হচ্ছে ওকে!একবারো আমার হাতটা ধরে স্বান্তনা দিচ্ছে না,বলছে না,'প্লিজ মন খারাপ করো না,আমি যত দূরেই যাই না কেন,তোমার পাশেই থাকবো'।''



আর পড়তে ইচ্ছে  করেনা নুমার,ডায়েরিটা একপাশে ছুড়ে ফেলে দেয়।নুমার আশংকাই সত্যি হয়েছিল।সিডনি যাওয়ার একবছরের মধ্যেই অনেক বদলে গিয়েছিল রাফি,নুমা কোনভাবেই রাফিকে চিনতে পারছিল না!আস্তে আস্তে সম্পর্কে দূরত্ব বাড়তে থাকে,এক সময় এসে সব শেষ...

নুমার লাল ডায়েরিটার সব পাতা লেখা শেষ হওয়ার আগেই রাফি আর নুমার ভালোবাসার গল্পের মৃত্যু হয়।তার পর কেটে গেছে আরো এক বছর,নুমা আর নিশাতের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি।নতুন করে একা একাই নিজের জীবনটা কে সাজিয়েছে...কিন্তু ভাগ্য বোধহয় অন্যরকম ছিল নুমার।



একটা সেমিনারে এটেন্ড করার জন্য ডিপার্টমেন্ট থেকে পাঁচ জনের একটা গ্রুপের টিম  লীডার হিসেবে চিটাগাং যায় নুমা।সেমিনারটা তিনদিনের ছিল,সেখানে দেশের বাইরে থেকে আর দেশের সরকারী ভার্সিটিগুলো থেকেও অনেক গুলো প্রুপ এসেছিল।সিলেট থেকে আসা একটা গ্রুপের প্রতিনিধির সাথে ওর পরিচয় হয় ওয়ার্কশপ করতে যেয়ে।মেয়েটার নাম লিরা।বেশ মিশুক আর হেল্পফুল।লাঞ্চব্রেকে অনেক গল্প হয় ওদের মধ্যে,নুমা নিজের সম্পর্কেও অনেক কথা বলে,হঠাৎ কি মনে করে যেন নিশাতের কথা তোলে ও।ডিপার্টমেন্ট,ইয়ার বলতেই লীরা বলে উঠে,

--আরে নিশাত এর কথা বলছ,ঢাকার মেয়ে?হ্যাঁ চিনিতো ওকে,এ বছর বিয়ে হয়েছে।

কথাটা শুনে একটু অবাক হয় নুমা!নিশাত একটা বারের  জন্য জানালোও না!

--তাই নাকি?কি করে ওর বর?--বাইরে থাকে,ওরই মামাতো ভাই,কি যেনো নাম...!ও হ্যাঁ,রাফি।

নুমার মাথাটা চক্কর  দিয়ে উঠে!!কি শুনছে এসব  ও...!

--কি বল?লিরা?রাফির সাথে বিয়ে হয়েছে নিশাতের?!!!

--হ্যাঁ,ওদের তো লাভ ম্যারিজ,কেন? তুমি জানতে না?অবশ্য অনেকদিনের না,রাফি ভাই অস্ট্রেলিয়া যাবার পর ওদের রিলেশন হয়,এ বছর এসে বিয়ে করল,খুব সম্ভবত মাস্টার্স করে নিশাত চলে যাবে!সেমিনারে এটেন্ড করার কথা,বাট এসেছে কি না জানিনা...

আরো কি কি যেন বলছিল  লিরা,কিন্তু নুমার কানে আর কিছু ঢুকলো না...খাওয়া শেষ না করেই ক্যান্টিন থেকে পাগলের মতো বেরিয়ে এলো, ওর পেছনে পেছনে লিরাও বের হলো আর ডাকতে লাগল,কিন্তু নুমা কিছুই শুনতে পেল না...একটা সময় চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসছে মনে হলো নুমার...



চোখ মেলে দেখলো,বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল চেম্বারের আছে সে।পাশে লিরা আর ওর গ্রুপের মেম্বাররা।ডাক্তার বলল,'তেমন ভয়ের কিছু নেই,হঠাৎ কোন শক্ত মানুসিক আঘাতের কারনে জ্ঞান হারিয়েছিলেন,রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে।'লিরা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে খুব সম্ভবত রাফিকে নুমা পছন্দ করতো,আর তাই ওর বিয়ের খবর শুনে শকড হয়েছে,কোন না কোন বড় ঘটনা আছে এখানে...কিন্তু বেশি আর ঘাটালো না।



নুমা অসূস্থতার  অজুহাত দেখিয়ে সেদিনই ঢাকার  পথে রওনা হলো।বাসায় ফিরে হাত মুখ ধুয়েই ওর প্রিয় লাল ডায়েরিটা বের করল,সাথে রাফিকে লেখা,নিশাতকে লেখা চিঠি,গিফট গুলো ও রাখল।তারপর রান্না ঘর থেকে ম্যাচ নিয়ে এসে আগুন জ্বালিয়ে দিল জিনিস গুলোতে......নুমা দেখতে পেল,ওর চোখের সামনে রাফির পাশে বধূ বেশে বসে আছে নিশাত...আর দূরে দাঁড়িয়ে আছে নুমা,হাতে লাল ডায়েরিটা।যার শেষ পাতায় লেখা ছিল,



''নিশাত,আমার ভালোবাসা তোকে আমি দান করে দিলাম,আজ থেকে এ ভালোবাসা তোর...রাফি,আজ থেকে তোমাকে মুক্তি দিলাম,মুক্ত হলাম তোমার মিথ্যে বন্ধন থেকে। কিন্তু মনে রেখ,এ ভালোবাসা তোমাদের সুখ দিবে না...কারন এর প্রতিটা কোনায় জড়িয়ে থাকব আমি...আমার আবেগ...হাজার চেষ্টা করলেও পারবে না আমাকে সরাতে...বিবেকের আয়নায় আমি সারা জীবন থাকবো তোমাদের পাশে...''





[উৎসর্গঃপ্রিয় রিজু'পু কে।পৃথিবীতে যেমন এই গল্পের নিশাতদের মতো কিছু স্বার্থপর মানুষ আছে তেমনি নুমার মতো কিছু উদার মানুষ ও আছে...ভালোবাসার মর্যাদা এরাই বুঝতে পারে,নিশাতরা না...]

লাল ডায়েরির শেষ পাতা - গল্পটি ভালো লাগলে Facebook, twitter, Google+ ও অন্যান্য সোসাল মিডিয়াতে অবশ্যই শেয়ার করুন । আপনার শেয়ার আমাদের উৎসাহ দেবে, যাতে আমরা আরো ভালো ভালো গল্প আপনাদের জন্য দিতে পারি।
আপনারা আমাদের সাথে থাকলে আমরা অবশ্যই আরো ভালো ভালো গল্প ( Bangla Golpo / Bengali Golpo ) আপনাদের জন্য দিতে পারবো। তাই অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন আসা করি।
--- ধন্যবাদ

Lal dairyr shesh pata

Tuesday, November 22, 2016


                                   ভালবাসার প্রথম চিঠি 

 

কেনো জানি খুব কান্না পাচ্ছে! শূন্যতা, পূর্ণতা, নির্ভরতা নাকি নিঃসঙ্গতার জন্য, জানি না। শুধু বুঝতে পারছি বুকের ভিতরে কোথায় জেনো লুকানো জায়গা থেকে একদল অভিমান প্রচণ্ড কান্না হয়ে দু’চোখ ফেটে বেরুতে চাইছে। তুমি কাছে নেই বলে শূন্যতা তার ইচ্ছে মত দেখাচ্ছে তার নিষ্ঠুর খেলা। আমিতো তোমার বুকে মুখ লুকালেই বাঁচি এখন! কিন্তু তুমি যে কত দূরে! বলতো!
আজ শেষ বিকেলের পাহাড় ছুঁয়ে ছুটে আসা দমকা হাওয়ার জড়িয়ে দেয়া মেঘের মতো ছোট্ট একটি ঘটনা আমার সব দ্বিধাকে উড়িয়ে নিয়ে গেলো! বুঝলাম, মহাকাল যে হাস্যকর ক্ষুদ্র সময়কে “জীবন” বলে আমাকে দান করেছে। সেই জীবনে তুমি-ই আমার একমাত্র মানুষটি, যার পাঁচটি আঙ্গুলের শরণার্থী আমার পাঁচটি আঙ্গুল, যার বুকের পাঁজরে লেগে থাকা ঘামের গন্ধ আমার ঘ্রাণশক্তির একমাত্র গন্তব্য। যার এলোমেলো চুলে আমি-ই হারিয়ে যাবো। আর আমি হারিয়ে যাবো ভালবাসতে বাসতে!!!
যার দুটো অদ্ভুত সুন্দর মধুভরা ঠোঁটের উষ্ণতায় আর তাই জীবনটা আজ ঠিক সেই অদ্ভুত ফুলগুলোর মতই মতই সুন্দর, যা দেখে আমি চমকে উঠেছিলাম। আর তুমি আমায় পরম মততায় আলতো জড়িয়ে ধরে তোমার ঠোঁটের সেই খুব মিষ্টি ছোঁয়ায় ভরে দিয়েছিলে সেই পুরোটা পাহাড়ি বিকেল। আর তখন সেই দূর পাহাড়ের দুষ্ট বাতাস এসে আমাকে চুপি চুপি কানে কানে বলে দিলো, “তোমার পাঁজরের হারেই আমার এই দেহটি তৈরি, যাকে স্বামী বলে!”।
আজ প্রতিটি ক্ষণ হৃদয়ে যে পরম সত্য অনুভব করলাম- আমি শুধুই তোমার। সে শেষ ঠিকানা আমি পেলাম। কখনই তা মিথ্যা হতে দিওনা, কখনই ছেড়না আর। আজ আমার ভীষণ সুখী হাত দু’টো, আর দৃষ্টি ঘুরিও না ঐ অদ্ভুত সুন্দর চোখজোড়ার, সেখানে অপলক তাকিয়ে বৃষ্টির সাথে আমিও আনন্দ হয়ে ঝরেছিলাম!
তোমাকে ভালবাসি প্রচণ্ড- এরচেয়ে কোনও সত্য আপাতত আর জানিনা!!
ভালবাসি তোমায়! :)

জনপ্রিয় পোস্ট

জনপ্রিয় পোস্ট

সাম্প্রতিক পোস্ট

আমার ফেসবুক

http://facebook.com/sayed.arviapon

কিছু কথা

পেজ দেখা হয়ছে

আমার সম্পর্কে

ভালবাসার গল্পে আপনাকে স্বাগতম ভালবাসার গল্পে আপনাকে স্বাগতম